শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:১৮ অপরাহ্ন
মো: সাইদুজ্জামান সাঈদ : বাংলাদেশ মিয়ানমারের মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ইস্যুতে তেমন কোন অগ্রগতি পরিষ্কার না হলেও প্রত্যাবাসনের প্রস্তুতি থেমে নেই। এর মধ্যে বান্দরবনের নাইক্ষ্যংছড়ির উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তে রোহিঙ্গা প্রত্যািবাসনের জন্য আরও ১ টি ট্রানজিট ক্যাাম্পের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু পাহাড় পাড়া মাঠে এ ট্রানজিট ক্যাম্পের কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মিত্র কন্সট্রাকশান।
ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রনালয়ের অধীনে শরণার্থী ত্রাণ ও পুনর্বাসন কমিশনের তত্ত্বাবধানে এ ক্যাম্প নির্মাণ কাজ শুরু করে সোমবার (২৩ অক্টোবর) সকাল থেকে। প্রাথমিকভাবে মাটি লেবেলিং এর কাজ, ঘেরাও এর কাজ জোরেশোরে চলছে। এছাড়াও নির্মাণ শ্রমিকদের জন্যে শেড তৈরী সহ প্রথম ধাপের কাজ হচ্ছে। পরের ধাপ হবে ট্রানজিট ক্যাম্পের মূল ঘর তৈরীর কাজ।
বিষয়টি স্বীকার করেছেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো: মিজানুর রহমান।
তিনি বলেন, ট্রানজিট ক্যাম্প নির্মাণের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় অর্থ দিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরকে। তারা ট্রেন্ডার করে ঠিকাদার নিয়োগ করেছে। আর জায়গা দিয়েছে বান্দরবান জেলা প্রশাসন। আর দেখভাল করছে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয় কক্সবাজার। এই প্রকল্পের কার্যাদেশ দিয়েছে মাস দেড়েক আগে আর জেলা প্রশাসন জায়গা বুঝিয়ে দিয়েছে দু’সপ্তাহ হবে। ঠিকাদার কাজ শুরু করার কথাও শুনেছি।
নতুন ট্রানজিট সেন্টারগুলো হচ্ছে বান্দরবানের তুমব্রু, ঘুমধুম ও কক্সবাজারের টেকনাফে। এর আগে দুটি ট্রানজিট ক্যাম্প হয়েছে একটি টেকনাফের কেরুনতলীতে ও আরেকটি উখিয়ার টিভি টাওয়ারের বিপরীতে বান্দরবানের ঘুমধুম অংশে। এছাড়াও টেকনাফের কেরুনতলীর জেটিটি মেরামতের জন্য ট্রেন্ডারও দেয়া হয়েছে, এই জেটিটিও মেরামত হবে।
তিনি জানান, মূলত প্রত্যাবাসনের জন্য ট্রানজিট সেন্টারগুলো করা হচ্ছে। স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের জন্য ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদের প্রথমে এনে ট্রানজিট সেন্টারগুলোতে রাখা হবে। তারা হয়তো এক বা দু’রাত এই সেন্টারগুলোতে অবস্থান করবে। প্রতিটি ট্রানজিট সেন্টারে একসঙ্গে ৫০০ রোহিঙ্গা থাকতে পারবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র গুলো জানান, ঘুমধুম ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডস্থ পাহাড় পাড়ায় আরআরআরসি কর্তৃক রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য নির্ধারিত স্থানে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কতৃক ট্রানজিট ক্যাম্পটির নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়েছে সরকারী জমিতে। যেটি দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত ছিলো। উক্ত কাজের শুরুতে দশজন শ্রমিকের মাধ্যমে ট্রানজিট ক্যাম্প আগের ধাপের কাজ হচ্ছে। যা টিন দিয়ে ঘেরাও এর কাজ শুরু করছে তারা।
সূত্র দাবী করেন, ট্রানজিট ক্যাম্প নির্মাণ কাজ শেষ হলে তালিকা সম্পন্ন করা রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের জন্যে এ ট্রানজিট ক্যাম্পে রাখা হবে স্বল্পদিন। তারপর তাদের মিয়ানমারে পার করে দিতে প্রত্যাবাসন অফিস হয়ে মিয়ানমার কতৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করবে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয় (আরআরআরসি)। সেই ট্রানজিট ক্যাম্প নির্মানের জন্যে জমি বরাদ্দ নেয়া হয় ৩.৩০ একর। পাশে আরো ৮/১০ একর খাস জমি এখানো খালি রয়েছে। যেখানে প্রথম পর্যায়ে ৪৭ টি টিন শেড ঘর, ১ টি কনফারেন্স রুম ও ১০টি ওয়াশরুম তৈরি করা হবে বলে সুত্র নিশ্চিত করেছে।
নাইক্ষংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোমেন শর্মা বলেন, মূলত এটি সরকারের নির্দেশে করা হচ্ছে যথাযত নিয়মে। যা যথাসময়ে শেষও করতে হবে। গত সোমবারের কাজ গুলো মূল কাজের আগের ধাপ।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply